কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। দ্রুত সংস্কার না করা হলে আবারও যেকোনো সময় সড়কটি অচল হয়ে পড়তে পারে।
যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভাষ্য, দুই বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে যানজট আর প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মহাসড়কটির অধিকাংশই ভাঙা। এসব স্থানে ধীর গতিতে গাড়ি চলানোর কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। বেশি খারাপ অবস্থা বাগমারা বাজার, লাকসাম মিশ্রি ও বাইপাসের দক্ষিণ অংশে। এছাড়া লালমাই, হরিশ্চর, লাকসাম উত্তর বাইপাস, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার, সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ মাইজদীর বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে।
উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ বলেন, ‘সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
এদিকে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার। এখানেই বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবারক উল্যাহ কায়েস বলেন, ‘দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাসে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত দৌলতগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বাইপাসের কাজটি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার তথ্য অনুযায়ী, নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। কিন্তু যে গতিতে কাজ চলতে এতে চলতি বছরেও তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, ‘সড়কের যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন সেখানে সংস্কার করা হচ্ছে। চার লেনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।’